আগামী ১০ই মে ইতিহাসের মোড় ঘুরানো বখতিয়ার খিলজির বঙ্গবিজয় দিবস। এ দিবসকে ভবিষ্যত বাংলার অন্যতম জাতীয় উৎসবে পরিণত করতে এই...
আগামী
১০ই মে ইতিহাসের মোড়
ঘুরানো বখতিয়ার খিলজির বঙ্গবিজয় দিবস। এ দিবসকে ভবিষ্যত
বাংলার অন্যতম জাতীয় উৎসবে পরিণত করতে এই দিনকে
ঘিরে প্রচার-প্রচারনা ও নানা ধরনের
আয়োজনের বিকল্প নেই। আজকের দিনের
শারদীয় উৎসবও কিন্তু ঠাকুর পরিবারের উদ্যোগেই বসন্ত থেকে সরিয়ে এনে
শরৎ কালে করা হয়েছিলো
লর্ড ক্লাইভকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য। সুতরাং আয়োজন ও উৎসব সাংস্কৃতিক
ভাবে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ও
তেমনি রাজনৈতিক ভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। যাইহোক, বখতিয়ার খিলজির বঙ্গ বিজয় দিবস
উপলক্ষ্যে আমরা যা যা
করতে পারি:
* যদি
সুযোগ থাকে এলাকার প্রভাবশালী,
সমঝদার- সম্পদশালী ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদা
তুলে গরু জবাই করে
গণভোজেট ব্যবস্থা করা। ১০ই মে
না হোক, এই
উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে এ মাসের
যে কোন দিন হোক।
* অথবা
মধুমাসের এই সময়ে এলাকার
মাঠে লাগলে সরকারী অনুমতি নিয়েই চাঁদা তুলে ফল উৎসব
করা যেতে পারে।
* নিজেদের
আইডি, পেজে এই দিন
এবং এ দিনের ইতিহাস
নিয়ে অবশ্যই লেখালেখি করা। সেক্ষেত্রে আমাদের
সরবরাহ করা ছবিগুলো বা
লেখাগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
* এ
উপলক্ষ্যে স্কুল-মাদ্রাসায় যেকোন আয়োজন হতে পারে। কুইজ
প্রতিযোগিতা, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, যেকোন খেলাধূলার টূর্নামেন্টও আয়োজন করা যেতে পারে।
কিছু না হলেও অন্তত
সচেতন ভাই-বোনেরা আপনাদের
ক্লাসে এ নিয়ে আলাপ
কইরেন। অবশ্যই এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন ক্লাসে হিন্দু ধর্মের বা অন্য ধর্মের
ছাত্র-ছাত্রি থাকলে, ভাষা প্রয়োগে সচেতন
হওয়ার ব্যাপারটা। যেমন হিন্দু রাজা
না বলে বললেন অত্যাচারী
রাজা লক্ষ্মন সেন অথবা আপনার
নিজস্ব বুদ্ধিমত।
* সুযোগ
থাকলে মসজিদে খুতবার আগের আলাপে ছোট্ট
করে গুরুত্ব বর্ননা করা অথবা দোয়ায়
শামিল করা। ১০ইমে মাগরীবের
নামাজের সময়ও ছোট করে
বক্তৃতা দিয়ে দোয়া করা
যেতে পারে।
* গ্রাম
বা এলাকার ক্লাবগুলো থেকে এ নিয়ে
খেলাধূলার টূর্নামেন্ট যেমন হাডুডু, ক্রিকেট,
ফুটবল বা গ্রাম্য ঐতিহাসিক
খেলাগুলো। ইতিহাস
পাঠ প্রতিযোগিতা হতে পারে।
* আপনার
বাসায় এ নিয়ে আলাপ
করুন। ছোট্ট কোমল সোনামণিকে গল্পের
মত করে বখতিয়ারের সাদা
ঘোড়ার গল্প শোনান। স্ত্রী,
পুত্র বা ভাগ্নে-ভাগ্নির
সাথে এ নিয়ে বয়সানুসারে
আলাপ করেন। ওদের ছোট্ট মনে
জেগে উঠবে নতুন বিজয়
আর হিনমন্যতাহীন মুসলিম হওয়ার স্বপ্ন ইনশাআল্লাহ।
* যারা
লেখালেখি করেন, এ ঘটনা ও
এর ফজিলত নিয়ে ছোট গল্প,
উপন্যাস, কবিতা রচনা করতে পারেন।
* ব্যক্তিগত
উদ্যোগে বা শিল্পীগোষ্ঠীগুলো কিংবা
নির্মাতা গ্রুপগুলো বখতিয়ার বা মুসলমানের বঙ্গ
বিজয় নিয়ে গান, কবিতা,
পুঁথি, শর্ট ফিল্ম, নাটক
বা ফিল্মে অথবা ডকুমেন্টারির কাজে
হাত দিতে পারেন। এবং
আধুনিক এই সময়ে এটাই
বেশি প্রয়োজন। হোক তা কয়েকদিন
পরে বের হবে কিন্তু
তাতে যেন ১০ই মে
বা বখতিয়ারের বঙ্গ বিজয় কে
নিয়ে হিন্টস থাকে।
* যারা
টিকটক ব্যবহার করেন বা ইনস্টাগ্রাম
তারা বখতিয়ার বা এই বিজয়
নিয়ে ছোট ছোট রিলস
বা টিকটক শেয়ার করতে পারেন। হোক
তা ছবি দিয়ে বা
কয়েকটা লাইনের পিছনে হালকা হামিং দিয়ে।
অনেক
কিছু বলে ফেললাম? ভাববেন
বলা তো সহজ, করা
তো কঠিন। ব্যাপার হলো যার যার
যেটা সুযোগ আছে কিংবা যার
যা ভালো লাগে প্রত্যেকে
যদি আমরা কিছু করতে
পারি তাহলে ইনশাআল্লাহ এই বাংলায় মুসলমানদের
লুটপাটকারী হিসেবে দেখানোর চেষ্টাকে রুখে দিয়ে বখতিয়ারের
বিজয় কে বাংলার গণমানুষের
উৎসবে পরিণত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
COMMENTS